train for school girl

৭০০ কোটি মানুষ ভরা বিশ্বে সত্যিই কি মানবিকতা আছে? প্রশ্নটা এখনকার সময়ে খুবই প্রাসঙ্গিক। এ সময়েও এমন একটি ঘটনা মানবিকতার ওপর বিশ্বাস রাখতে শেখায়, রাখতে বাধ্য করে।

জাপানের একটি জনহীন রেলওয়ে স্টেশন শুধুমাত্র এক ছাত্রীর জন্য এখনও চালু রয়েছে। যাতে সে ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছতে পারে।

জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের একদম উত্তর প্রান্তে রয়েছে কামি শিরাতাকি স্টেশন। নিতান্তই অজ পাড়া-গাঁ বলতে যা বোঝায় অনেকটা তাই। যাতায়াতের জন্য অন্যান্য মাধ্যম থাকায় রেলপথে কেউই খুব একটা কোথাও যাওয়া-আসা করেন না। এ কারণেই রেল দপ্তর ওই স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।

কিন্তু পরিদর্শকরা তখন লক্ষ করেন, একটি মেয়ে সারা বছর ট্রেন ধরে স্কুলে যাতায়াত করে। ট্রেন না চললে তাঁর স্কুলে পৌঁছতে খুবই কষ্ট হবে। তাই ওই ছাত্রীর জন্যই একটি গোটা স্টেশন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুধু তাই নয়, মেয়েটি যাতে সঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছতে পারে তার জন্য ট্রেনের টাইমও পাল্টে দেওয়া হয়। সারা দিনে ওই একটি ট্রেন তাঁকে স্কুলে পৌঁছে দেয় এবং বিকেলে তাঁকে ফের ওই জনহীন স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে যায়। রেল দপ্তর এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, যত দিন না মেয়েটি স্নাতক হচ্ছে, ততদিন এই ট্রেন পরিষেবা চালু রাখা হবে। 

দেশটিতে অন্য একটি বিরল নীতিও রয়েছে। ট্রেন ব্যবহার করে কোনো শিক্ষার্থী যদি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন আর তা যদি শুধুমাত্র একজনও হয় তাহলে ওই শিক্ষার্থীর পড়াশুনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন সেবা অব্যাহত থাকবে।

লেখক পরিচিতি
অচলা
Author: অচলা
জন্মের পর থেকেই যার চারপাশে দাগ দিয়ে চলার সীমানা এঁকে দেয়া হয়েছে, বিধি-নিষেদের প্রাচীরের অভ্যন্তরেই পার হয় যার জীবন, সেই বাঁধার দেয়ালকে ভেঙে দেয়ার ইচ্ছাতেই সমমনা লোকদের যাতয়াত ক্ষেত্র বাংলা ব্লগ জগতে অচল পথিক ‘অচলা’ র পথচলা।
আমার ব্লগ সমুহ:

আপনার মতামত দিন