আপনি পরিবারে একজন কর্তা ব্যক্তি,সবার ভালোমন্দ দেখভালের দায়িত্ব আপনার স্কন্ধে।সংসার পরিচালনায় অবশ্যই আপনার নিজস্ব একটা নিয়োম নীতি আছে। আপনার হুকুম পালনের মাধ্যমেই সংসারটা সুচারুভাবে পরিচালিত হয়।সংসারের কোন একজন ব্যক্তি যদি সংসারের নীতিমালা ভঙ্গ করে তবে সংসারে কিন্ত অশান্তি সৃষ্টি হবে এবং সংসারের কর্তা ব্যক্তি কিন্ত নারাজ হবে।অপরাধী ব্যক্তি যদি নিজের ভূল বুঝতে পেরে কর্তার নিকট ভূল স্বীকার করে ক্ষমা চাই তাহলে কর্তা ব্যক্তি কিন্ত ক্ষমা করে, আর বলে এ রকম যেন আর না হয়।এখন সংসারের কোন সদস্য যদি নিজেকে স্বাধীন সর্বাধিক মনে করে সংসারের মালিকের নির্দেশনাকে পদদলিত করে চলতে থাকে তাহলে ঐ সংসারে কিন্ত আর শান্তি থাকবেনা।সংসারে ভাঙ্গন শুরু হয়ে যাবে,বাড়ির মালিক নাখোশ হয়ে যে কোন বিপর্যয় মূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারে,যা পরিবারের কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনবেনা।এটা হলো স্রষ্টার এক সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য। স্রষ্টার বৈশিষ্ট্যটা একটু অন্য রকম।তিনি অপরাধীদের নিদিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত অবকাশ দেন,তিনি অপরাধের সাথে সাথেই খুব কম ধরেন।কোরআন সুন্নাহর আলোকে এই পৃথিবীতে বহু বিপর্যয়, আযাব,গজব এই পৃথিবীতে সংঘটিত হয়েছে এবং অনেক মানুষ ও বিলুপ্ত হয়েছে। আমরা নুহ আঃ এর বন্যা,লুৎ আঃএর কওমকে জমিন উল্টিয়ে,কারুন, হামান,ফেরাউনদের ধ্বংস, প্লেগ দ্বারা সত্তর হাজার বনী ঈসরায়েলকে বিলুপ্ত সহ অনেক জাতির ধ্বংস লীলার ইতিহাস আমরা জানি।উম্মতে মুহাম্মদীয়াকেও যুগে যুগে আল্লাহ বিভিন্ন মহামারী দিয়ে সতর্ক করে আসছেন।মানুষ সতর্ক হয়নি,হচ্ছেনা।ঐতিহাসিকরা ১৬২০ সালের মহামারী থেকে শতবর্ষ পরপর দুনিয়ার বুকে একেকটা মহামারীতে লাখ লাখ মানুষ বিলুপ্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে, সবগুলোই মানুষের পাপের ফসল।১৯২০ হতে ২০২০ পর্যন্ত যত পাপ মানুষ করেছে পৃথিবীর শুরু হতে ১৯২০ সাল পর্যন্ত তা হয়নি।বুদ্ধি বৃদ্ধির পর শুনি নাই যে ভাই বোনকে ধর্ষণ করেছে,বাবা কন্যাকে ধর্ষন করতে পারে,সন্তান দ্বারা মা ধর্ষিতা হতে পারে,সমকামীতা রাষ্টীয়ভাবে অনুমোদিত হতে পারে।মানুষের হাতের মুঠোয় ধর্ষনযন্ত্র,দেহ নিয়ে ব্যবসা, হাজারো পাপের হাতছানিতে প্রকৃতি বড়ই বিষন্ন। হাজার মহামারীর পর এবার আল্লাহ পাঠিয়েছেন করোনাকে,কেমন বিলুপ্ত হবে? এর মাঝে ও মানুষের কোন অনুভূতি নেই।এইত চোখের সামনেই দেখছি মানুষ পাপের মধ্যেই ডুবে আছে কোনই অনুশোচনা নাই।আসলেই আমরা কি বিলুপ্ত হয়ে যাবো? সব পাপ ছেড়ে বান্দারা যদি সিজদাহ্তে পড়ে আল্লাহর দরবারে তওবা করতে পারে,পাপের অনুশোচনায় আল্লাহর দরবারে হাত তুলে চোখের জলে বুক ভাষাতে পারে আল্লাহ তুমি যদি আমাদের শাস্তি দাও তবে মোরাতো তোমারই বান্দা,আর যদি ক্ষমা করে দাও তবে তুমি মহাপরাক্রমশালী ক্ষমাময়।
আপনার মতামত দিন