সদ্য প্রয়াত বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ হুমায়ুন আহমেদের গল্প অবলম্বনে নির্মিত শিশুতোষ টেলিফিল্ম। 

 

কাহিনী সংক্ষেপঃ বাবা মায়ের ব্যস্ততার সীমা নেই। একমাত্র ছেলেকে বাবা মা কেউই ঠিকমত সময় দিতে পারেনা। এভাবেই বেড়ে উঠতে থাকে ছোট্ট এগার বছরের পুতুল (ফাহাদ)। বাসার কাজের বুয়াই ওর দেখা শুনা করে। বই পড়তে ছবি আকতে আর কম্পিউটারে গেম খেলতে ওর ভাল লাগে। এক সকালে জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই বানরের খেলা দেখতে পায়। ও বেরিয়ে আসে । এরপর সে হাটতে হাটতে একটা পার্কে গিয়ে বসে। সেখানে আগে থেকেই ওর বয়সী আরেকটা ছেলে বসে ছিল। সে তার কুকুরটিকে বার বার মারছিল। একসময় সে পুতুলকেও ইটের ছোট টুকরা ছুড়ে মারে। পুতুল ওকে মারছে কেন তা জিজ্ঞেস করতেই ছেলেটা বাজে বাজে কথা বলে। অবশ্য এরপরই ওদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। কত শত গল্প হয়। ছেলেটা রেল স্টেশনে থাকে তার এক মাত্র বোনকে নিয়ে। বোনটা খুব সুইট। ওদের মধ্যে দারুন সখ্যতা গড়ে ওঠে। ওরা ট্রেনে করে ময়মনসিংহ যায়। সেখানেই ট্রেনে এক গানওয়ালার সাথে দেখা হয় যে গান গায় আর দাতের মাজন বিক্রি করে সেই সাথে কান পাকা মলম কর্ণসুন্দর বিক্রি করে। যদিও কেউ তা কেনেনা। পুতুল নতুন বন্ধুদের কাছ থেকে একটা টাকা চেয়ে নিয়ে এক কৌটা কর্ণসুন্দর কিনলে সেই বিক্রেতা যে কি খুশি হয় তা বলার নয়।

 

ওদিকে একমাত্র ছেলেকে না পেয়ে বাবামা দিশে হারা হয়ে যায়। এক হুজুর ডাকে। সেই হুজুর পুতুলের জামা কাপড়ের গন্ধ শুকে বলে কোথায় আছে। এভাবেই টান টান উত্তেজনার পর এক সময় পুতুল ফিরে আসে নিজের বাড়িতে।

 

ওদের বাড়িটা দেখে বস্তির সেই মেয়েটি বলে এটা তোমাদের বাড়ি? তোমরা কি এই দেশের রাজা? ও কোন কথা না বলে বাসায় ফিরে যায়।

 

মুক্তির সালঃ ২০০৪ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। ছবিটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।

 

অভিনেতা অভিনেত্রীঃ

 

হুমায়ুন ফরিদী (পুতুলের বাবা)

সুবর্ণা মুস্তফা (পুতুলের মা)

ফাহাদ (পুতুল)

জয়ন্ত চট্টপাধ্যয় ( কর্ণসুন্দর বিক্রেতা)

রাইসুল ইসলাম আসাদ (পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা)

রহমত আলী (পুলিশের কর্মকর্তা)

 


আপনার মতামত দিন