লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষক তাঁর কাছে প্রাইভেট না পড়ায় শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

দশম শ্রেণির ‘খ’ শাখার শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছফিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে আজ বুধবার লিখিত অভিযোগ করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ছফিয়ার রহমান বিভিন্ন সময় দশম শ্রেণির ‘খ’ শাখার শিক্ষার্থীদের তাঁর কাছে ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়তে চাপ দিয়ে আসছিলেন। তাঁর কাছে প্রাইভেট না পড়লে আসন্ন এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন তিন। তবে শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়নি। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হন। গত সোম ও মঙ্গলবার পরপর দুদিন ইংরেজি পড়াতে এসে প্রথমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে গালিগালাজ করেন।

শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করলে ক্লাসে উপস্থিত দুই-তিনজন শিক্ষার্থী ছাড়া সবাইকে (প্রায় ৫০ জন) বেত দিয়ে পেটান। এ সময় তিনি বলেন, টেস্ট পরীক্ষায় ইংরেজিতে পাস করতে চাইলে অবশ্যই তাঁর কাছে প্রাইভেট পড়তে হবে। মারধরের বিষয়ে কোথাও অভিযোগ করলে তার ফলাফল ভালো হবে না।স্মারকলিপিতে বলা হয়, গণপ্রহারের শিকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিপি আক্তার এবং নুর জাহান আক্তারের অবস্থা গুরুতর।

এ ব্যাপারে নুর জাহান আক্তার বলে, ‘আমি অনেক অনুনয় বিনয় করেও ছফিয়ার স্যারের হাতের বেতের মার থেকে বাঁচতে পারিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছে।’জানতে চাইলে ছফিয়ার রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হয়েছে। তবে তিনি ফোন ধরেননি।

এ ব্যাপারে মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সরওয়ার আলম বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য তিনি বাইরে আছেন। ফিরে এসে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে সুপারিশপত্র পাঠাবেন।

এ ব্যাপারে আদিতমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জহুরুল হক বলেন, গণপ্রহারের শিকার শিক্ষার্থীদের দেওয়া স্মারকলিপির অনুলিপি তিনি পেয়েছেন। তিনি বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আদিতমারীর ইউএনও মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন।

Lalmonirhat

 


আপনার মতামত দিন