Hijra

নগর জীবনের একেরপর এক সমস্যার সাথে এখন হিজরা নামক নতুন সমস্যার যোগ হয়েছে।

কোন হিজরা (তৃতীয় লিঙ্গ) ভূল করেও যদি কারো বাসায় ঢুকে পড়ে তাহলে তাদের বিদায় করতে হয় ৫০০-১০০০টাকা দিয়ে। আর ওরা আসে দল বেঁধে।

কারো ঘরে নতুন বাচ্ছা জন্ম নিলে হিজড়ারা এসে দশ-পনের হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে বসে। তাদেরকে চাঁদার টাকা না দিয়ে কেউ তাদেরকে বিদায় করতে পেরেছে এমন খবর আমার জানা নেই। কারন অস্বীকার করলেই শুরু হয়ে যাবে ওদের উদ্ভট ও অশ্লীল কর্মকান্ড।

আমার পরিচিত একজন অনেক অনুয় বিনয় করে অবশেষে ১৪০০০ টাকা দিয়ে বিদায় করেছে। হিজড়াদের দাবী ছিল ২৫ হাজার টাকা। 

এদের সাথে ঝগড়া-ঝাটি করে একবার তাড়িয়ে দিলে যে কান্ড ঘটাবে তাতে আপসের জন্য আপনাকে গুনতে হবে দ্বিগুন টাকা।

অথচ একটি সাধারন পরিবারের মাসিক আয় দশ-পনের হাজার টাকা।

সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা যায়। কিন্তু হিজড়াদের চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পুলিশও অনিচ্ছুক। 

কিছু দিন আগে এক শপিংমল থেকে চাঁদাবাজীর অভিযোগে কিছু হিজড়াকে আটক করে থানায় নেয়ার পর, পুলিশ পরে এক মহা মুশকিলে। হিজড়াগন চিল্লাপাল্লা ও উদ্ভট অঙ্গভঙ্গি করে পুরো থানা উজার করে তুলে। অবশেষে পুলিশও তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

এক্ষেত্রে হিজড়াদের যুক্তি তাদের কোথাও কাজ করার সুযোগ নেই। কোন প্রতিষ্ঠানে তাদেরকে চাকুরী বা কাজের জন্য নিয়োগ দেয়া হয় না। তাদের অন্য কোন উপার্জনের উৎসও নেই। এমতাবস্থায় চাঁদা না উঠালে তাদেরকে না খেয়ে মরতে হবে। 

তাদের যুক্তিও পরোপুরি অগ্রহ্য করার উপায় নেই। কারন বাঁচতে তো হবে।

এক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যক্তি এনজিও, প্রতিষ্ঠান ও সরকার এগিয়ে এসে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তাদের পুনর্বাসন করা উচিত। সেই সাথে নাগরিকদেকে এই উদ্ভট হয়রানি থেকে রক্ষা করতে হিজড়াদের চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথোপোযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

লেখক পরিচিতি
অচলা
Author: অচলা
জন্মের পর থেকেই যার চারপাশে দাগ দিয়ে চলার সীমানা এঁকে দেয়া হয়েছে, বিধি-নিষেদের প্রাচীরের অভ্যন্তরেই পার হয় যার জীবন, সেই বাঁধার দেয়ালকে ভেঙে দেয়ার ইচ্ছাতেই সমমনা লোকদের যাতয়াত ক্ষেত্র বাংলা ব্লগ জগতে অচল পথিক ‘অচলা’ র পথচলা।
আমার ব্লগ সমুহ:

আপনার মতামত দিন