islamic image

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তা'আলার, যিনি সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী। এবং দুরূদ ও সালাম পেশ করছি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর ওপর।

দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক নারী ও পুরুষের জন্য ফরজ। আমরা যদি নিজেদের প্রশ্ন করি এ ফরজ দায়িত্ব টি আমরা কতটুকু পালন করি উত্তর কি আসবে ভেবে দেখেছেন কি?

মহান আল্লাহ তা'আলার  বাণী : "একমাত্র তারাই আল্লাহকে ভয় করে তার বান্দাদের মধ্যে যারা জ্ঞানী" (সুরা আল-ফাতির:২৮)

মু'আবিয়াহ (রা:) হতে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা:) বলেছেন, আল্লাহ যার মঙ্গল ইচ্ছা করেন তিনি তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন. -(বুখারী, মুসলিম)

আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা:) বলেছেন : যে লোককে দ্বীনের কোন  জ্ঞান  সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় এবং সে তা লুকিয়ে রাখে, কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের লাগাম পরানো হবে। ( সহীহ আল-জামি, আবু দাউদ, তিরমিযী )

আমাদের সকলকে সেই হাদিস অনুসরণ করা উচিত যেখানে রাসুল (সা:) বলেছেন, আমার নিকট হতে একটি বাক্য হলেও তা লোকদের নিকট পৌছিয়ে দাও।

এমন ও হতে পারে আমাদের দাওয়াত এর বিষয় বস্তু হতে কাউকে না কাউকে আল্লাহ হিদায়েত দিতে পারেন। এই মর্মে সাহল ইবনু সা'দ (রা:) হতে বর্ণিত আছে, আলী (রা:) কে রাসুল (সা:) বলেছেন, আল্লাহর শপথ! তুমার মাধ্যমে আল্লাহ যদি একজন লোককেও হিদায়েত দান করেন তাহলে তুমার জন্য তা লাল উট গুলো অপেক্ষা অধিক মঙ্গল জনক।

কথা হচ্ছে আমরা কি প্রচার করবো? যদি আমদের একটি আয়াত, বাক্য বা হদিস জানা থাকে আমরা তাই প্রচার করব।  গুরুত্ব পূর্ণ কথা হচ্ছে কোনো কিছু প্রচার করার আগে আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে তা কোরআন এবং সহিহ হাদিস ধারা প্রমানিত কিনা।  যদি তা কোরআন এবং সহিহ হাদিস ধারা প্রমানিত হয় তাহলে তা আমরা প্রচার করবো। আর যদি তা তা কোরআন এবং সহিহ হাদিস ধারা প্রমানিত না হয় তাহলে তা প্রত্যাখান করবো।

অনেকের ধারণা কোরআন ও হাদিস শুধু মাত্র আলেমরাই চর্চা বা গবেষণা করবে এবং আলেমরাই দীনের দাওয়াত দিবে  এ ধারনাটা ভুল। আল্লাহ তা'আলার  সুরা কামার এ বলেন আমি কোরআন কে অতি সহজ ভাবে নাজিল করেছি , তাই আমাদের সবাইকে কোরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে।

আল্লাহ তা'আলা  আমাদের হক বুঝার তৌফিক দান করুন আমীন।

 

লেখক পরিচিতি

আপনার মতামত দিন