wifi

প্রযুক্তির এ যুগে কম্পিউটার, ট্যাব অথবা মোবাইল ছাড়া চলা দুষ্কর। আর তার ছাড়াই এই গ্যাজেটগুলোকে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত করে ওয়াই-ফাই। এখন চারদিকে ছড়ানো ছিটানো ওয়াই-ফাই। যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানেও এর যথেচ্ছ ব্যবহার দেখা যায়।

মোবাইল ফোন বা অন্যান্য কোম্পানির জন্য এটা বেশ সুবিধার হলেও যন্ত্রটি মানবদেহের জন্য চরম ক্ষতিকর বলে মানছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়টি নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করে না।

সাময়িক আনন্দের বশে আমরাও বুঝতে পারি না এর ক্ষতিকর প্রভাব কী। তারপরও সমস্ত প্রচারণার বাইরেও মাঝে মাঝে শোনা যায় একটা কথা, ওয়াই-ফাই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই এটি ধীরে ধীরে আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।

তারবিহীন যন্ত্র রাউটারের মাধ্যমে ট্যাবলেট ও ফোন অনলাইনে যুক্ত করে থাকে ওয়াই-ফাই। এই রাউটার থেকেই ক্ষতিকর ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ওয়েভ সিগন্যাল বের হয়, যা মানবদেহের জন্য গুরুতর ক্ষতিকর বলে বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন গবেষকরা ।

দেখা গেছে, যারা দীর্ঘদিন ওয়াই-ফাই ব্যবহার করছেন, তাদের শরীরে এ সিগন্যাল ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং শরীরের বেশ কিছু অঙ্গকে যথাযথভাবে কাজ করতে বাধা দেয়।

সম্প্রতি মানুষ ও প্রকৃতির ওপর রাউটার কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে ব্রিটিশ হেলথ এজেন্সি। গবেষণায় ওয়াই-ফাইয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো নির্ণয় করা হয়েছে। গবেষণা ফলাফলে দেখা গেছে, ওয়াই-ফাই ব্যবহারের ফলে দীর্ঘ ক্লান্তি, কান ব্যথা, মনোযোগে বিঘ্ন, অবিরত ও মারাত্মক মাথাব্যথাসহ ঘুমের প্রকট সমস্যা সৃষ্টি হয়। আর এসব সমস্যা থেকে মানুষের জটিল রোগ হতে পারে।

কোনো কিছু বুঝতে না দিয়ে এভাবেই ওয়াই-ফাই মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। কিন্তু প্রযুক্তির এ যুগে ওয়াই-ফাই ছাড়া চলাও তো মুশকিল। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা মানবদেহের ক্ষতি ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে কতগুলো কার্যকরী উপদেশ দিয়েছেন, যা স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আপনার যন্ত্রটির রক্ষণাবেক্ষণেও কাজে আসবে।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে রাউটারের লাইন বন্ধ করে দিলে এর ক্ষতিকর প্রভাব কমবে। আর যখন প্রয়োজন নেই তখন এটা না চালানোই ভালো। তারবিহীন যন্ত্রের পরিবর্তে ইন্টারনেট ব্যবহারে তারযুক্ত যন্ত্র বাড়িতে ব্যবহার করতে পারেন।এছাড়া, রান্নাঘর কিংবা বেডরুমে রাউটার রাখা কখনোই উচিত না।


আপনার মতামত দিন