muলুই ফন গাল আর কত কী করবেন? দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খোল-নলচে পাল্টে দেওয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় তিনি। নতুন খেলোয়াড় কিনতে ম্যানেজমেন্টকে দিয়ে খরচ করিয়েছেন ১৫ কোটি পাউন্ড। কেরিংটনের অনুশীলন মাঠের ভূগোলও নাকি পরিবর্তিত হয়েছে তাঁর ইচ্ছায়। কিন্তু মাঠে তার প্রতিফলন কোথায়? ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নতুন মৌসুমে এখনো জয়ের দেখা পায়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তিন ম্যাচে দুটো ড্র আর একটি হার। দুটি ড্রই আবার গোলশূন্য। স্ট্রাইকাররা যেন গোল করতেও ভুলে গেছেন। এখন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া আর রাদামেল ফ্যালকাওয়ের কল্যাণে যদি কিছু হয়। বিরাট খরচের দুই তারকাকে দলে ভিড়িয়ে এখন আশায় বুক বেঁধে বসে থাকা। প্রত্যাশার নব-পর্যায়ে ডাচ কোচ এবার বদলে দিলেন বহুদিন ধরে চলে আসা ক্লাবের নিয়মকানুনও। কড়া সব নিয়মের বেড়াজালে খেলোয়াড়দের আটকে তাঁদের সেরাটা আদায় করার লক্ষ্যে এখন ফন গাল।

নতুন নিয়মের মধ্যে আছে মুঠোফোন-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। অনুশীলন চলাকালে কোনো খেলোয়াড়ই নিজের কিটব্যাগে এখন থেকে আর ফোন রাখতে পারবেন না। খেলার সময় একাদশ ও একাদশের বাইরে থাকা সব খেলোয়াড়কেই মুঠোফোন জমা দিতে হবে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে। এমনকি টিম মিটিংয়েও হাতে বা পকেটে ফোন রাখা যাবে না। ফন গাল অবশ্য ব্যাপারটিকে শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেই করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, ‘খেলার ব্যাপারে খেলোয়াড়দের আরও মনোযোগী করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ মুঠোফোনের ব্যাপারটি না হয় শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেই। কিন্তু ডাইনিং-কক্ষ ব্যবহারের একটি নিয়মও একটু অন্য রকমই মনে হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-সংশ্লিষ্ট অনেকের। এখন থেকে তিন বেলাই সব খেলোয়াড় ও স্টাফকে একসঙ্গে খেতে বসতে হবে। দলের ঐক্য বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত কি না, সেটা অবশ্য ফন গালের কাছ থেকে জানতে চায়নি ইংলিশ মিডিয়া। তবে ফন গাল হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ম্যাচের দিন কোনো খেলোয়াড় খাবার টেবিলে দেরি করে এলেই তাঁকে শাস্তিস্বরূপ ওই ম্যাচে বসিয়ে রাখা হবে।

এখানেই শেষ নয়। অনুশীলন মাঠে খেলোয়াড়দের ফাঁকিবাজি ঠেকাতে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নাকি সিসি ক্যামেরা বসানোর অনুরোধ জানিয়েছেন এই ডাচ কোচ। সূত্র: ডেইলি মেইল।


আপনার মতামত দিন