অতিতের স্মৃতিগুলি

কোথায় আমার ঘুম ভাঙ্গানী মাসীপিসীর স্মৃতি পাতার গান?

কোথায় দাদীর হাম্বলদিস্তার ঠনঠননী বাটায় ভরা পান?

কোথায় মায়ের আঁচল নীচের ঘ্যানঘ্যানানী হু দশ নয়া দে মা,

অমনি হাতটি ধরে আঁচল হাতে নাকের পোটা মুছে দিত মা।

 

কোথায় মায়ের আঁচল বাঁধা, সেই সোনামনি ভোলানো কড়ি?

কোথায় ভেপুর কোমর কুলপি অলা, যেথায় যেতাম দৌড়ি।

কোথায় নদীর পাড়ের বটবৃক্ষ,যার শাখায় দিতাম ডিগবাজী,

চালাক চতুর অনেক বাহাদুর, মারতো আবার উল্টাবাজী।

 

কোথায় হারিয়ে গেল সে আনন্দ অনুভুতির মনোহরিনী দৃশ্য,

অতিতের সব স্মৃতি হারিয়ে হয়েছি যেন ঘরকুনে এক নিঃশ্ব।

কোথায় শীতের রাতের সেই খেজুর রশের কচুড়ী দেয়া হাড়ি,

কচুড়ী রশ খেয়ে মুখ চুলকাতে চুলকাতে ফিরতে হতো বাড়ী।

 

কোথায় আমাদের গমের মাঠ দলে দলে যেতাম গম ঠেকাতে,

কোথায় ছোলার শাকের মাঠ,মনোহরিনীরা যেত শাক তুলিতে।

কোথায় হারালো আখ মাড়া মেশিনে কানা গরুর ঘুল্লি পাক,

কোথায় আখের বাইনে চিংড়ি পাটালী আর নুরো ময়রার হাক।

 

শীতের সকালে কাঁচের শাকের গুটি,আর লাটিম খেলার ধুম,

অতিতের বিষ্ময় সব স্মৃতি হারিয়ে এখন দেখি শুধু খুন গুম।

বৈকালের সেই দাড়াগুলি আর খেটে খেলার হাকাহাকি,

কখনো হাততালী,কখনো কুর্নিশ আবার কখনো বকাবকি।

 

মাথায় গমের বস্তা নিয়ে দলে দলে যেতাম গম ভাঙ্গাতে,

বিশ্রাম নিতাম মাঝপথে ঐ যে খড়্যো মাঠের বট তলাতে।

মেশিন অলার অঙ্গভঙ্গি আর আটাচুরির তালবাহানা,

অতিতের এই স্মৃতিগুলো কেন যানি ভুলতে পারিনা।

 

আপুদের সাথে কাবাডী আর ফুটবল খেলার সেই স্মৃতি,

সব পিছু ফেলে এখন ঘটতে যাচ্ছে জীবন ডায়েরির ইতি।

 


আপনার মতামত দিন