জীবন্ত এক জীবনী যদি দেখতে চাও, বঙ্গবন্ধুর জীবনী দেখো,
জীবন্ত ইতিহাস যদি লিখতে চাও, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস লিখো,
মজলুম নিপীড়িত মানুষের বন্ধু দেখতে বঙ্গবন্ধুকে দেখো,
হৃদয়ের মাঝে কাউকে যদি রাখতে চাও বঙ্গবন্ধুকে রেখো।
শত ধারার মহা কবিতার মহা কবি আমার প্রিয় বঙ্গবন্ধু,
জীবনের সব চাওয়া বিলিয়ে তিনি ইতিহাসের বিষাদ সিন্ধু।
বাতিলের মসনদ কাঁপিয়ে সেদিন কন্ঠে নিয়ে হায়দারী হাক,
বাঁচাতে বাঙ্গালীকে দিয়েছিল সেদিন বাঙালির মুক্তির ডাক।
শতবাঁধা পেরিয়ে বীর দর্পে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী,
বজ্রের হঙ্কার দিয়ে পাক হানাদারদের করলো বাংলা খালী।
তোমাদের জন্য প্রতিদান দিলেন কন্টকমুক্ত বাংলাদেশ,
কেমনে ভুলে যাও হে বাঙ্গালী আমার বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির পরশে নিপিড়িত বাঙালী হয়েছে ধন্য,
বিশ্বের বুকে বাঙালীকে তাই আজ করে সবাই গন্য।
অমানিশির আধার ভেদিয়া আলোর প্রদীপ হাতে নিয়ে,
রাহবার হয়ে পথ দেখালেন নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে।
বিপ্লবী চিরভাস্কর আমার বঙ্গবন্ধু,হাজার ত্যাগের মহিমায়,
অপোষহীন সংগ্রামের অগ্রনায়কপাঠালেন প্রভু বাংলায়।
মৃত্যুর করিডোরে মাথা নাহি নীচু করে মুখে সিংহের গর্জন,
ভেঙ্গে যাবে তবু মচকাবেনা এযে বাঘা বাংলার বীর জোয়ান।
নিজের জীবন যৌবন মায়ার বাধন ত্যাগ করলো কাদের জন্য?
নিরাপদ দেশ আর আশ্রয় দিয়ে বাঙ্গালীকে করলো কে ধন্য?
ধন্য বিশ্ব ধন্য মজলুম নিপীড়িত ধন্য আমার বাংলাদেশ,
ধন্য হে বঙ্গবন্ধু ধন্য হে মহাবীর ধন্য তোমার সোনার দেশ।
তুমি ফাঁসীর মঞ্চকে করেছো জয়,মিথ্যাকে করেছো ক্ষয়,
পাক হানাদার বিশ্বাসঘাতক দোসররা হয়েছ আজি লয়।

আপনার মতামত দিন