অরন্যে গোয়েন্দাবাস-১ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সামরিক জয় পরাজয়ের ঘনঘাটা শেষেই শুরু হলো উভয় পক্ষের আত্ম বিশ্লেষন,কোন পক্ষের পরিক্পনায় কোথায় ভূল ছিল।যা হবার যা ঘটবার তাতো শেষ।ভবিষ্যতে যেন ভুল না হয় সেই পরিকল্পনা সামনে নিয়ে ধাবমান সামরিক জান্তারা।যুদ্ধে পরাজয়ের বড়কারন গুলোর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্যের নির্ভুলতা ও সঠিক তথ্য সরবরাহ বড় একটি বিষয়।কোন একটি দেশ তাদের গোয়েন্দাগীরি উন্নত করার জন্য, তারা প্রথমে জনবল রিক্রুটিং শুরু করবে।কিছু কিছু জান্তা বললো,সামরিক বাহিনীর ভিতর থেকে বাছাই করা হোক,কেউ কেউ বললো না পাবলিক থেকে ভাল ভাল স্কলার নিয়োগ দেয়া হোক কিন্ত এখানে একজন অত্যান্ত বৃদ্ধ নাবিক ছিল, যে পদাতিক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে যুদ্ধবন্দী হয়েছিল। পরে কৌশলে সে পালিয়ে আসে।তার একটা চোখ শত্রূ বাহিনী উঠিয়ে নিয়েছিল।সে বললো তোমরা কি আমার একটা প্রস্তাব রাখবে? তোমরা যে পরিকল্পনা করছো তা অনেক দেশেই বিদ্যমান পুরাতন।নুতন কিছু যদি করতে চাও তাহলে আমার প্রস্তাবে মনোযোগ দাও। বৃদ্ধটি বললো,নিজের হাতে খাবার খেতে পারে দুই, তিন বছর বয়সের এমন কিছু ছেলেমেয়ে জোগাড় করো,আমি তাদের গোয়েন্দাগিরী শিখাবো,বৃদ্ধর প্রস্তাবে সকলে যেন কিংকর্তব্যবিমুড়।কোথায় পাবে এমন ছেলেমেয়ে? এই বয়সের কোন সন্তানকে কোন পিতামাতা কি ত্যাগ করতে পারে? হ্যাঁ একটি রাষ্ট্রকে মেরুদন্ড খাড়াকরে দাঁড়াতে হলে,এর চাইতেও ভয়ংকর পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য রাষ্ট্র সন্তানদের প্রস্তুত থাকতে হবে।রাষ্টের জন্য দিতে হবে।তাদের শক্তিশালী পরিচয়তো অবশ্যই থাকবে।যেমনেই হোক অনেকগুলো ছেলেমেয়ে জোগাড় করা হলো,অত্যান্ত নিরাপদে তাদেরকে রাখার কাজ চলছে,তাদেরকে রাখা হয়েছে শহরের এক আলিশান মঞ্জিলে যা প্রশিক্ষনের জন্য মোটেও নিরাপদ ছিলনা।বৃদ্ধ রাষ্ট্র শক্তির নিকট এদের আবাসস্থলের জন্য কিছু জমির আবেদন করলো,কিন্ত বৃদ্ধ জমিটা এমন জায়গায় নিল যেখানে জনমানব কেউতো যা ই না,নাম শুনলেও সাধারণ মানুষ ভয় পাই।,,, ,, চলবে।
আপনার মতামত দিন