দেখতে দেখতে অনেকদিন অতিবাহিত হতে চললো।গোয়েন্দাবাসের বাচ্চারা এখন বেশ বড় হয়ে উঠেছে।দেশপ্রেমের কোন ঘাটতি তাদের মধ্যে নেই।তারা সবাই এখন জানে যে,তারা রাষ্টের বড় একটা সম্পদ।গোয়েন্দাবাসে কোন প্রকার সুযোগ সুবিধার অভাব নেই।তাদেররকে যে কোন একটি রাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ করে সেখানে যে ভাবেই হোক আস্তানা গাড়তে হবে।এই অভিযানে সবাই সফল নাও হতে পারে।অনেকেই ধরাপড়ে পাঠার বলিও হতে পারে।তবে প্রত্যেকের সাথে এমন একটি ঔষধ দেয়া আছে যা ধরা পড়ার সাথে সাথে তারা গিলে ফেললে সর্বোচ্চ দুই মিনিট পরে মারা যাবে।কোন প্রকার তথ্য শত্রু দেশকে দেয়া লাগবেনা।আর এভাবেই এদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।ওদের ব্যারাকে এসবের আবার রিতিমতো ডামীর সাহায্যে মহড়া অভিনয় ও করা হয়।ফুলকীর কাজটা খারাপনা কোনমতে ঝাড়ুটা দিতে পারলে হয়েছে একেবারে রিতা ম্যাডামের রুমে।ফুলকীর দৃষ্টি শক্তি নাকি খুব ভালো তাই ওর দিয়ে রিতা ম্যাডাম প্রায় প্রায় মাথার উকুন দেখায়।ফুলকী উকুন দেখে আর ম্যাডাম গোয়েন্দাদের গল্প বলতে থাকে।ফুলকীর যেন এটা একটা নিশাই পরিনত হয়ে হঠাৎ পাশেই কেমন যেন চিল্লাপাল্লার আওয়াজ,রিতা ম্যাডাম ও ফুলকী তাড়াতাড়ি উঠে বাহিরের দিকে নামতেই ভজা দৌড়ে এসে একেবারে টানা টানা নি:শ্বাসে বললো মুরুব্বীতো জ্বরে কাঁপছে, ডাক্তারের কাছে নেয়া প্রয়োজন।নিজেদের এসি এ্যাম্বুলেন্সে করে ডাক্তারের কাছে নেয়া হলো,বিকালবেলা ডাক্তার মশাই হাসপাতালে নেই ডিউটি রেখে কোথায় যেন গেছে,গোয়েন্দা দেখে কোথায় গেছে প্রথমে ওরা বলতে চায়নি।পরে জানা গেল উনি ডায়বেটিসের রোগী প্রতিদিন সকাল বিকাল জগিং করেন।জরুরী ফোন করে নিয়ে আসা হলো,কমপাউন্ডারটা ছিল থুব বজ্জাৎ প্রকৃতির আর সব সময় বেশি কথা্ বলে।বৃদ্ধর সাথে এসছিল উনার সহকর্মী ওয়ারেন্ট অফিসার মার্গার ও ভজা।কমপাউন্ডারের বেশি কথা বলা দেখে মার্গার খুব চেতে গেলেন,ধমক দিয়ে বললেন এই তুমি কি ডাক্তার? এত বেশি কথা কেন বলো? হঠাৎ ডাক্তার মেজর তান্ডুয়ার আগমন, গেমস ড্রেস একদম ঘামে ভিজে শেষ।পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানা গেল বৃদ্ধর টাইফয়েড হয়েছে।গোয়েন্দাবাসের সবাই চিন্তিত,না জানি কি হয় বয়স্ক মানুষ আপনজন বলতে এখানে তার কেউ নেই।হাসপাতালে ভজাই দেখাশুনা করে।সারাদিন থাকে রাত দশটার সময় বাসাই চলে যায়।বৃদ্ধ আবার হাসপাতালের খানা খেতে পারেননা,তার উপরে আবার টাইফয়েড।গোয়েন্দাবাসের কাজকর্ম থেমে নেই।ওদের প্রত্যেকের শরীরের ভিতর বিভিন্ন জায়গায় ডিভাইস সেট করা হচ্ছে যাতে ওরা যেখানেই যাক ওদের গতিবিধি সনাক্ত এবং ওয়েভের মাধ্যমে ওদেরকে নিয়ন্ত্রন করা যায়। ওদেরকে স্কলার দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে,সামনে ওদের মাধ্যমিক পরিক্ষা স্কলার হিসাবে পাঠানোর জন্য রাষ্টকে আরো দুবছর অপেক্ষা করতে হবে।সামনের দুবছর পর যাতে সবার স্কলারের ব্যবস্থা করা হয় সে জন্য কতৃপক্ষ বোর্ডের সাথে সমন্বয় করছে।যে সমস্ত ছাত্রদের ডিভাইস লাগানো হয়েছে তাদের অধিকাংশই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এগুলো শরীরে স্থাপন করা খুবই সহজ,বের করা অনেক কঠিন,এটি স্থায়ী একটি ডিভাইস।অপারেশন করে বের করতে হবে।চারিদিকে হুলুস থুলুস বেধে গেল কিভাবে এমন হলো?তদন্ত আদালত শুরু হলো জানা গেল পার্শবর্তী রাষ্টের গোয়েন্দারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হবার পর আমদানী কারক দেশের মাফিয়া চক্রের সাথে যোগাযোগ করে ঐ সমস্ত ডিভাইসের ভিতর বিষাক্ত কিছুর অনুপ্রবেশ ঘটায় যাতে ওটা যে শরীরে থাকবে সে আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে মারা যাবে।কতৃপক্ষ খুব তাড়াতাড়ি ডিভাইস গুলো বাচ্চাদের শরীর থেকে অপারেশন করে বের করা ফেললো।বুঝাগেল গোয়েন্দাবাস নিরাপদ না।এখানে শত্রুর গুপ্তচরের অনুপ্রবেশ অনুপ্রবেশ ঘটেছে।সাধারণ সবার আংগুল এখন ভজা আর ফুলকীর দিকে। ফুলকীকে বন্দী করা হলো,হাসপাতালে ভজাকে ধরার জন্য গাড়ী পাঠানো হয়েছে।বৃদ্ধ হাসপাতাল হতে রিলিস হয়েছে ভজা উনার সাথেই আছে একজন সার্জেন্ট গিয়ে বৃদ্ধকে ঘটনাটি বললো বৃদ্ধ শুধু বললো,আমি সমস্ত কিছু ক্যাম্পে গিয়ে শুনবো এখন তাড়া আছে, আমি ঔষধটা উঠিয়ে আনি তোমরা একটু অপেক্ষা করো।বৃদ্ধ হাই কমান্ডের সাথে কথা বললো,যাদেরকে সন্দেহ করা হচ্ছে আসলে বিষয়টি তাদের দ্বারা করা সম্ভব না।সমস্ত প্রশিক্ষক,শিক্ষক শিক্ষিকাকে ক্লোজড করা হলো এবং সবার আলাদা আলাদা জবানবন্দী নেয়া হলো এবং নারী পুরুষদের আলাদা কক্ষ করে সেখানে রাখা হলো।সবার রুম তল্লাশী করে সমস্ত মোবাইল ফোন কতৃপক্ষের নিয়ন্ত্রনে নেয়া হলো। প্রত্যেকটা ফোনের কল হিষ্টরী নিয়ে যানা গেল একাজ কে করেছে।স্কুলের হেড মাষ্টার মহাশয়,গ্রেফতার করা হলো, কি কারণে তিনি এমনটি করলেন? কতৃপক্ষ কোন কিছুর অভাবতো রাখেন নাই।ইন্টারগেশন সেলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে যানা যায় নিরুপায় হয়ে হেডমাষ্টার এ কাজটি করেছে,তার একটি ছেলে সিটিজেনশীপ নিয়ে পার্শবর্তী দেশে পরিবার পরিজন সহ থাকেন।তার একটি ছেলে আছে পাঁচ বছর বয়স,ঐ দেশের মাফিয়ারা অপহরণ করে একাজটি করিয়েছে।
আপনার মতামত দিন