নবান্ন

আব্দুল হান্নান

ব্যথিত ভুবনের আনন্দ লহুরী নবান্ন আসলে দুয়ারে,

স্বপ্নচারীরা স্বপ্ন বুনে কি দিবে ওদিন তার প্রিয়ারে, 

বাড়ির গিন্নীরা খুজে ফেরে সদা কোথা আম বিন্নী ধান,

খির না বিলালে পড়শীদের কাছে হতে হবে অপমান।

নবান্ন আসলেই ধুম পড়ে যায় কৃষান কৃষাণীর ঘরে,

আমের পায়েশ বিলিয়ে বেড়াই পাড়ার আপন পরে।

নবান্নের আনন্দে গীত গেয়ে ফেরে দলে দলে লাঠিয়াল,

বৃষ্টি ভেজার গুমোট হাওয়ায় খেলা দেখে সব পয়মাল।

সাঁপুড়িয়ারা ঝাপান গেয়ে দেখাবে সাপের খেলা, 

সাজ সাজ রবে বসবে ঐ দিন ডানাকাটা পরী মেলা।

মেহেদী রঙে রাঙিয়ে হস্ত মুখে পরে আলপনা রাশ, 

সাজুগুজু করে লক্ষীর সাজে জীবনকে করে পরবাস।

নবান্নের ভোরে সাজিয়ে গরু কৃষক দিতো ক্ষেতে লাঙ্গল, 

নবান্নের খির বিলালে উঠত কৃষাণ কৃষাণীর ঘরে মঙ্গল। 

জানি এ সব অপসংস্কৃতি,তবু বাঙ্গালী হয়ে নাছোড় বান্দা,

নবান্নের নামে অনেক কুলাঙ্গার করে ফেরে সদা ধান্দা।


আপনার মতামত দিন