কুকুরগুলোকে ভালো ভালো খাবার দেয়া হলো এবং বাউন্ডারির ভিতরে রেখেই তাদের উপর পরীক্ষা নিরিক্ষা চালানো হচ্ছে।নিজেস্ব বাউন্ডারি পেরিয়ে এবার কুকুর কয়েকটিকে গাড়িতে করে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা চালানো হলো তাতেও সফলভাবে কাজ সম্পন্ন হলো।এর ভিতর কুকুর চারটি শেষ,আর দুটি কুকুর আছে ।বৃদ্ধ কুকুর দুটিকে নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা যেটা সব চাইতে দূরে সেখানে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা চালানোর জন্য বললেন।এতেও সফল পরীক্ষা চললো। এখন পরীকল্পনা বিদেশে কুকুর নিয়ে তার উপর পরীক্ষা চালাতে হবে।টাম নামের বিদেশী কুকুর একটা নেয়া হলো,তাঁকে বেশ কিছুদিন প্রশিক্ষন দেয়া হলো।কুকুরের শরীরের ভিতর এমনভাবে ডিভাইস সেট করা হলো যাতে স্ক্যানার মেশিনে কোন প্রকার ধরা না যায়।কুকুর সহকারে বিদেশ ভ্রমনে যাবার জন্য একজনকে নির্ধারণ করা হলো এবং বিদেশে যাবার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলো। কুকুর সহকারে বিদেশ ভ্রমন বড় একটা সমস্যা,তবে টামকে টয়লেটের অভ্যাস করানো হয়েছে এই জন্য বেশি একটা সমস্যা হয়নি।এদিকে কন্ট্রোল রুম হতে সার্বক্ষণিক এদেরকে ভালোভাবেই পর্যবেক্ষন করা সম্ভব হচ্ছে।কুকুর নিয়ে বিমানে ভ্রমন খুবই জটিলতা,হাইকমিশনের সাথে যোগাযোগ করে সব ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হলেও বিমানে নিরাপত্তার সমস্যা কথা কর্তৃপক্ষকে বেশি চিন্তিত করছে।নিজেদের দেশের বিমান ঐ ভাবেই যোগাযোগ করা হয়েছে।ওয়ারেন্ট অফিসার রবার্ট ডি টামের সাথে থাকতে থাকতে ওর সাথে সম্পর্কটাও ভাল কিন্ত ওকেতো হারাতেই হবে।কিছু করার নেই দেশের সার্থে কারো না কারোতো বলির পাঠা হতেই হবে। রবার্ট ডি টামকে নিয়ে বিমান বন্দরে,হঠাৎ টাম ঘেউ ঘেউ শুরু করেছে একজনের দিকে ছুটে যেতে চাচ্ছে ।ওকে প্রাথমিক পর্যায়ে বিয়ারের প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছিল,আর ওখান দিয়ে একজন বিয়ার নিয়ে যাচ্ছিল এই জন্য ও ঘেউ ঘেউ করছিল।যথা সময় বিমান আসলো রবার্ট ডি টামকে নিয়ে বিমানে উঠলো এবং নির্ধারিত সীটে বসলো।টামকেও সীটবেল বেঁধে দেয়া হলো।অপারেটররা কন্ট্রোল রূমে ডিভাইস ডিসটেন্স পাওয়ার পরীক্ষা করে দেখছে,আনলিমিটেড ডিসটেন্স।রবার্ট ডি বমিান হতে সিড়ি বেয়ে নামতেই কাজ করা হলো,রবার্ট এর হাত হতে টাম আছাড় খেয়ে মাটিতে পড়ে গেল।রবার্ট ডি টামের শরীর হতে দ্রুত ডভিাইসটি খুলে নিল।রবার্ট ডি টাম মরায় কাঁন্নার অভিনয় করলেও চোখের কোনের পানিটা কিন্ত অভিনয় ছিলনা।এদিকে কন্ট্রোলরূমে আনন্দের সীমা নেই,অনেকদিন পর সফল হয়েছে। এখন শুরু হবে ইন্টারমিশন,প্রত্যেকটা পার্শবর্তী দেশের নিজেস্ব হাইকমিশন এবং কুটনীতিকদের সাথে পরামর্শ করা হলো।হাইকমিশনের অধীনে যুবক যুবতীদেরকে ঐ দেশে পাঠানো হবে।পার্শবর্তী রাষ্ট্র সমুহে এম-১ (মিশন১)নামের স্কুল খোলা হলো,শর্ত হলো ঐ স্কুলের ব্যায়ভার মিশনারীরা বহণ করবে এবং তাদের প্রতিনিধিরা ওখানে নিয়ন্ত্রন করবে।প্রশিক্ষনার্থী যুবক যুবতীদের জোড়া জোড়া স্বামী স্ত্রী বানিয়ে পাঠানো হলো পার্শবর্তী দেশ সমুহে এ দেশে এসছে কর্ণ আর প্রিয়সী কর্ণ মিশনের প্রধান নির্বাহী আর প্রিয়সী প্রধান শিক্ষিকা কোন এক সময় এদেরকে কেন্দ্র করে আসবে আসল গোয়েন্দা।তবে কর্ণ আর প্রিয়সী এদের প্রাথমিক কাজ হচ্ছে স্কুলের ত্বত্তাবধান করা আর হত দরিদ্র ব্রিলিয়ান ছাত্রদের টার্গেট করা এবং টাকার বিনিময়ে তাদরেকে এজেন্ট বানানো এবং মূল গোয়েন্দাদের জন্য একটা পরিবেশ তৈরী করা।টার্গেট বেশ ভালই সফল এদের প্রাথমিক কাজ দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগের লোকদের সাথে সম্পর্ক করে তথ্য সংগ্রহ করা।এজেন্টদের ভিতর এমন কিছু গুরুত্বপূর্ন এজেন্ট আছে যারা পেশাদার কিলার।যখন কোন সাধারণ এজেন্ট ধরা পড়ে তখন এই কিলাররা যে কোন উপায়ে তাঁকে হত্যা করবেই। একজন সাধারণ এজেন্ট ছুটিতে থাকা একজন সামরিক ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক করতে গিয়ে সন্দেহের চোখে ধরা খেয়েছে,পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে কিন্ত রক্ষা করে থানা পর্যন্ত কি নিয়ে যেতে পারবে?না আর সম্ভব হলোনা পেশাদার কিলার স্কোয়াডরা স্নাইপার সহ প্রস্তুত এবং নিশানাভেদী স্যুটিং এর কবলে লোকাল এজেন্টের মৃত্যু, হতাশ পুলিশ কুল কিনারা খোজা শুরু হলো কাদের সাথে ওর চলাচল ছিল এখন খুজাখুজি তাদের উপর।মিশন ১ এর প্রথম মৃত্যু।পুলিশের হেফাযতে এ রকম সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তির মৃত্য স্বাভাবিকভাবে অনাকাংখিত এবং প্রশাসনকে ভাবিয়ে তোলার একটি বিষয়।প্রশাসনে সন্দেহের ঘনঘাটাটা এখন একটু বেশি শুরু হলো।বন্ধুবান্ধব যা আছে সব ধরপাকড় শুরু আর অন্যদিকে মিশনের লোকেরা অত্যান্ত সতর্কতার সাথে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। কর্ণ ,প্রিয়সী সবচাইতে বেশি চিন্তিত,তাদের মূল প্রচেষ্টা ঘটনা যেন কোন প্রকারেই প্রকাশ না পাই। হাইকমান্ডের নির্দেশনা মোতাবেক স্কুলে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে এবং রাষ্টের এমপি,মন্ত্রি,পুলিশ প্রধান সহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের দাওয়াত করা হলো। দেশ হতে নাম করা সব নায়ক,নায়িকাদের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনের কথা বলা হলো।সন্দেহের আংগুল যাতে কোন প্রকার না ওঠে তার জন্য যা যা করার সব কিছুরই পরিকল্পনা করা হলো।যথা সময় অনুষ্ঠান শুরু হবে।দলে দলে মেহমানরা আসছে,হাইকমিশনের লোকের সাথে কর্ন এবংপ্রিয়সীও আছে রিসিভশনে।এমপি মন্ত্রিদের ছেলেমেয়েরাও আসছে।এক মন্ত্রির ছেলের ললুপ দৃষ্টি প্রিয়সীর দিকে একধাপ সামনে এগিয়ে হাত বাড়িয়ে হাই হ্যালো।প্রিয়সী সংকোচ বোধ করে হ্যালো।
আপনার মতামত দিন